Hell Commando : Bangla Onobad E-Book ( বাংলা অনুবাদ ই বুক : হেল কমাণ্ডো )
গভীর রাতে আকাশে চাঁদের লুকোচুরিতে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা কোন একটি নদীর স্পীডবোটের উপর তন্ময় হয়ে বসে থাকবে, সুখ-প্রাচুর্য আর দৈন্যের জীবনে কোন একজন সঙ্গী থাকবে- আনোয়ারের ঠিক এমন একটা জীবনের স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু হলো না কিছুই! ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিহাস! যে আনোয়ার রাতের অন্ধকারকে ভয় পেতো, তাকেই প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে রাতের আঁধারে।”কারণ কমাণ্ডোদের প্রতি নির্দেশই হলো: রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের মতো চমক লাগিয়ে তোমার কমাণ্ডো নাইফ দিয়ে শত্রুর উপর হামলা করো।” “ছুরি” জিনিসটাকে একসময় আনোয়ার ভয়ানক ভয় পেতো, এখন ছুরিই ওর বিপজ্জনক যাত্রার সঙ্গী। আনোয়ার খুব সহজেই অন্যদের আপন করে নিতে পারতো। তদানীন্তন পাক-বাহিনীতে আদর করে ওকে ’হেল কমাণ্ডো’ ডাকতো। কেউ কেউ ডাকতো ’লুলুম্বা’ বলে। তবে সবচেয়ে নাম ছিলো ‘কিলু বিলু’। অথচ জীবনটা এমন ছিলো না। দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রতিপক্ষের কাছে মার খেয়ে ঠোঁট কেটে, নাক ফেটে রক্ত বের হচ্ছিল। তারপরই সব বদলে গেল।/কঠোর নিয়মানুবর্তিতা, অমানুষিক পরিশ্রম, অবর্ণনীয় শারীরিক নির্যাতন সহ্য করে তৈরি এক কমান্ডো। বাঙালী এক যুবক কখনও নেমেছে উত্তাল সাগরে, কখনও অসীম নীলাকাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছে নিচে, কখনও তুষারাবৃত পর্বত-শৃঙ্গে লড়েছে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা। নিজের চামড়া পোড়ার গন্ধে সে চমকে উঠেছে, কখনও কুলকুচি করেছে বিষ্টাময় দুর্গন্ধময় পানি দিয়ে, ক্ষুধার তাড়নায় খেয়েছে কুকুরের মাংস। সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা। তদানীন্তন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় কমান্ডো ব্যাটেলিয়ানের ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেন ছিলেন এক দুঃসাহসী চৌকষ অফিসার। 'হেল কমান্ডো' মূলত তাঁর সৈনিক জীবনের কাহিনি নিয়েই রচিত।(ফ্ল্যাপ থেকে লেখা)

:d
ReplyDelete