আমি লক্ষ্য করেছি যে বাংলাদেশের মুসলিমদের বিরাট অংশ খিলাফতে রাশেদা, বানু উমাইয়া খিলাফয়াত ও বানুল আব্বাস খিলাফাত সম্পর্কে যতটুকু অবহিত, উসমানী খিলাফাত সম্পর্কে ততটুকু অবহিত নন। অথচ মুসলিম উম্মাহর গৌরবোজ্জল ইতিহাসের বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে উসমানী খিলাফাত। একাধারে ছয়শত ছত্রিশ বছর ধরে এই খিলাফাত এশীয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার সুবিস্তৃত অঞ্চলের মানুষের কল্যাণের উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। পুরোপুরি না হলেও প্রথম ভাগের উসমানী খালীফাগণ আল-কুরআনের বহুবিধ বিধান তাঁদের ব্যাগতিগত জীবন ও সামাজিক জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন। ফলে তাঁদের জন্য অগ্রগতির রাজপথ উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিলো। দুঃখের বিষয় পরবর্তী কালের খালীফাগণ আল-কুরআনের শিক্ষার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন। ফলে তাঁরা ও তাঁদের শাসিতরা অচিরেই জাহিলিয়াতের শীকারে পরিণত হন। তাঁদের উন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, পতন নিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এই পুস্তিকায় আমি উসমানী খিলাফাতের উত্থান ও পতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেছি যাতে সম্মানিত পাঠকগণ অল্প সময় খরচ করে একটি দীর্ঘ ইতিহাসের সার-সংক্ষেপের সাথে পরিচিত হতে পারেন।
এ. কে. এম. নাজির আহমদ
উসমানী খিলাফাত
উসমানী খিলাফাত মুসলিম উম্মার ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বানুল আব্বাস খিলাফাতের পতনের পর এই খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত হয়। যেই বছর তাতার সমর নায়ক হালাকু খান বানুল আব্বাস খিলাফাতের রাজধানী বাগদাদ নগরী ধ্বংস করেন, সেই বছরই জন্মগ্রহণ করেন উসমানী খিলাফাতের প্রতিষ্ঠাতা উসমান। ১২৮৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মসনদে বসেন। তখন থেকে শুরু করে ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৩৭ জন খালীফা ৬৩৬ বছর উসমানী খিলাফাত পরিচালনা করেন।
0 disqus:
Post a Comment