Blog Archive

Written By Bangladeshi on Friday, 10 March 2017 | 09:41

দশ মাইল দীর্ঘ এবং পাঁচ মাইল প্রশস্ত আলফাজরার পার্বত্য এলাকা। হিজরতের পর এটাই ছিলো স্পেনের শেষ মুসলিম সম্রাট আবু আবদুল্লাহর সাম্রাজ্য। পশ্চিমে ছোট ছোট পর্বত শ্রেণী। পর্বতের পাদদেশে একটা পুরনো কেল্লায় আবু আবদুল্লাহর আবাস। পাহাড় শ্রেণী ধীরে ধীরে উঁচু হয়ে গেছে উত্তর দিকে। পেছনে শস্য-শ্যামল উপত্যকা। সেখানে প্রায় চল্লিশটা বসতবাড়ি। এখানেই আরেক কেল্লায় থাকেন সাবেক উজির আবুল কাসেম।

আবুল কাসেমের জায়গীর দেখাশুনার দায়িত্ব ছিল মাসয়াবের ওপর। সম্পর্কে তার স্ত্রীর চাচাতো ভাই। সুলতানের আগমনের কয়েকদিন পর দেহরক্ষী, চাকর-বাকর এবং ছেলেমেয়েদের নিয়ে এসেছিলেন তিনি। আবুল কাসেম কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকতেন গ্রানাডায়, গত তিন বছরে বড় জোর কয়েক সপ্তাহ কাটিয়েছেন এখানে।

সুলতানের সাথে বা তার দু'চার দিন পর যারা এখানে এসেছিল, বলতে গেলে তারা এসেছিল একেবারে শূণ্য হাতে। ফার্ডিন্যান্ডের কাজে অনেকের এই আস্থা এসেছিল যে, তিনি চুক্তির শর্ত ভাংবেন না। জমিজমা বিক্রি করে ওরা চলে আসতো আলফাজরায়। সময় সুযোগ বুঝে পাড়ি দিত আফ্রিকা।
ফার্ডিন্যান্ড ও চাচ্ছিলেন মুসলমানরা আফ্রিকা চলে যাক। তবে তাদের তিনি দেশ ছাড়া করছেন, এ অভিযোগ যেন কেউ করতে না পারে এ ব্যাপারে ছিলেন খুবই সতর্ক। এ জন্য তিনি তাদের যাতায়াতের পথই নিরাপদ রাখেননি বরং চুক্তির শর্তগুলো যথাসাধ্য পালন করে চলতেন। ফলে, গত তিন বছরে অনেক মুসলমান আফ্রিকা গিয়ে আবার বিনা বাঁধায় ফিরেও এসেছিলো।

রোমান ও তুর্কী যুদ্ধ জাহাজগুলো রোম উপসাগরে টহল দিত। এজন্য মুহাজির কাফেলায় আক্রমন করে বিজিত এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইতেন না ফার্ডিন্যান্ড।

এক রাতে আবু আবদুল্লাহ দাবা খেলছিলেন। নওকর কক্ষে ঢুকে বলল: 'আলীজাহ, আবুল কাসেম গ্রানাডা থেকে ফিরে এসেছে।'
: 'কোথায়'? -চঞ্চল হয়ে প্রশ্ন করলেন আবু আবদুল্লাহ।
: 'বাড়িতে। আমাদের লোকেরা বিকেলে পনেরো বিশজন লোককে তার বাড়ির দিকে যেতে দেখেছে'। 





শেষ বিকেলের কান্না

0 disqus:

Post a Comment

Eboi.ML© 2014. All Rights Reserved. Published By Kaizen Template